৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনা

খুলনায় বুধবার (০৭ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ চার ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এতেই ডুবে যায় খুলনার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে তৃণমূল, গ্রাম-পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ সড়ক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, টুটপাড়া, হাজী মহসিন রোড, আহসান আহমেদ রোড, বিআইডিসি রোডের আলমনগর, শামসুর রহমান রোড, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড, মিস্ত্রি পাড়া, শেখপাড়া গোবরচাকা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, এম এ বারি লিংক সড়ক, শিপইয়ার্ড সড়ক, মুজগুন্নি আবাসিক, নিরালা, গল্লামারি, খালিশপুর ও দৌলতপুরের বিভিন্ন সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। খালিশপুর হাউজিং পুরাতন ও নতুন কলোনিতে অনেক দোকান ও ঘরেও পানি ঢুকেছে।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। রোগী বহনের কাজে নিয়োজিতরাও ভোগান্তির শিকার হন। বৃষ্টির পানিতে পয়োবর্জ্যেও সয়লাব হয়ে যায়।

টুটপাড়া নিবাসী আহমদ শেখ বলেন, জরুরি কেনাকাটার জন্য বড় বাজার গিয়েছিলাম। বাজার করে ফিরতে গিয়ে পানির কবলে পড়তে হয়। তাই উপায় না পেয়ে জলিল টাওয়ারের সামনের এ সানসেটের নিচে দাঁড়িয়েও রক্ষা পাইনি। বৃষ্টির মধ্যে হাঁটাও যাচ্ছে না। রিকশাও নেই।

সোনাডাঙ্গার বাসিন্দা সালাম মোড়ল বলেন, সকাল থেকে মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। এরপরও বাধ্য হয়েই বের হয়েছিলাম। কিন্তু বছরের সেরা বৃষ্টির কবলে পড়ে সড়কেই পানিতে নাস্তানাবুদ হতে হলো। এমনিতে করোনার কারণে রিকশা ও অন্য বাহন পাওয়া কঠিন। তার ওপর আবার বৃষ্টি। ফলে রূপসা থেকে দীর্ঘপথ হেঁটে অতিক্রম করতে হচ্ছে। আর ড্রেনের বর্জ্যযুক্ত পানিতে হাঁটাও কঠিন।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, দুপুর ২টায় প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টি হয়। যা একটানা মুষলধারে এক ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। এ এক ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এরপর হালকা বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, মোট ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।