সাতক্ষীরা ডট কম খুললেই পশুর হাট

গতবারের মতো এবারও জেলায় কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে অনলাইনে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরা ডট কম। সাইটটি খুলতেই এর হোম পেজে দেখা যাবে নানা জাতের গরু ও ছাগলের ছবি, দাম, ডিসকাউন্ট ইত্যাদি।

বিক্রেতারা প্রশাসনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তাদের পশুর ছবি, ভিডিও, বর্ণনা, দাম, ঠিকানা আপলোড করছেন। এমনকি আপলোড করার জন্য আগে নিবন্ধনও করতে হচ্ছে তাদের।

করোনাভাইরাসের দাপটে বিপাকে পড়েছেন জেলার খামারিরা। তাদের কথা ভেবেই শুক্রবার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে এ অনলাইন পশুর হাট।

এতে একদিকে যেমন ঝুঁকি কমবে, তেমনি সাতক্ষীরার পশু বাইরে বিক্রির সুযোগও তৈরি হবে। এমনটা জানিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। জেলায় লকডাউন ভেঙে পশুর হাট বসানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সদরের খামারি মজনু মালি বলেন, ‘গতবার গরুর দাম ভালো পেয়েছিলাম। সেই আশায় এবারও ২০টি গরু পালন করেছি। তবে এবারের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় আছি। ঈদে গরু বিক্রি না হলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়বো।’

দেবহাটা উপজেলার খামারি দেবপ্রসাদ ঘোষ বলেন, ‘আমরা অনেকেই সারাবছর গরু মোটাতাজাকরণ করে কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি। বড় একেকটা গরু ৩-৪ লাখ টাকায় বিক্রি হবে এমন আশায় থাকি। কোরবানিতে সেগুলো বিক্রি না হলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো।’

এদিকে খুলনা বিভাগের অন্যতম বৃহৎ পারুলিয়া হাটের ইজারাদার জেলা পরিষদ সদস্য আলফেদৌস আলফা জানান, ‘করোনায় হাট বন্ধ। প্রতি হাটে কয়েক লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। প্রান্তিক কৃষক বা অসহায় নারীরা গরু পালন করে হাটে বিক্রি করেন। হাট বন্ধ থাকায় তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জেলার সাতটি উপজেলা প্রশাসন এবং প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে চালু হয়েছে সাতক্ষীরা ডট কম। এখানে ক্রেতারা সহজেই নিজেদের পছন্দের পশু বেছে নিতে পারবেন। যারা বিক্রি করতে চান, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। অনলাইন কেনাবেচায় খামারিদের বাড়তি খরচ ও ঝামেলা কমবে।’