যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩ বন্দির পলায়ন, তদন্তে কমিটি

খাবার কম দেওয়ার অভিযোগে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) ভাঙচুর করে পালিয়েছে তিন শিশু। এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) রাতে কেন্দ্রের আবাসিক ভবনে ভাঙচুর চালায় বন্দি শিশুরা। ওই সময় এক শিশু আহত হয়। রবিবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন এবং একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তদন্ত কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বলেন, হাসপাতালে ভর্তি শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অন্য কোনও সমস্যা হতে পারে। সেকারণে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, শিশু কেন্দ্রের বন্দিদের হুমকির কারণে শনিবার থেকে আমি কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে পারছি না। যে তিন শিশু পালিয়ে গেছে তাদের নাম-ঠিকানাও বলতে পারছি না।  

১০ জুলাই রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খাবার কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায় বন্দিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ পুলিশের একাধিক টিম সেখানে পৌঁছায়। রাত ১টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫০ জনের ধারণক্ষমতার কেন্দ্রটিতে ২৫০ জন বন্দি রয়েছে। বেশ কিছু দাবিতে তাদের অসন্তোষ রয়েছে। শনিবার রাতে বন্দিরা বিক্ষোভ করে কেন্দ্র ভাঙচুর চালায়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, তিন বন্দি পালিয়েছে। আমরা আশা করছি, ইতোপূর্বের ঘটনার মতো তারা ফিরে আসবে। না হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।