সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে চোখ বেঁধে প্রেমিকাকে হত্যা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভুট্টাক্ষেত থেকে স্কুলছাত্রীর (১৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক কলেজছাত্রকে (১৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে চোখ বেঁধে ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) বিকালে ভুট্টাক্ষেত থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় বুধবার সকালে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা।

কলেজছাত্রের জবানবন্দির বরাত দিয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর বাড়ি মিরপুর পৌর এলাকায়। স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সরকারি কলেজের ওই ছাত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক তার। একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি হয়নি কলেজছাত্র। তখন ছাত্রী বলে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে এবং কলেজছাত্রের নাম লিখে যাবে। এতে ভয় পেয়ে সাত দিন আগে মেয়েটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।’

ওসি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে মেয়েটিকে ফোন করে রাত ২টা ৫০ মিনিটে বাড়ি থেকে বের হতে বলে কলেজছাত্র। এর মধ্যে জায়গা দেখে আসে কোথায় নিয়ে হত্যা করবে। প্রথমে একটি ইটভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে লোকজন থাকায় ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। তখন কলেজছাত্র বলে তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। কিন্তু সারপ্রাইজ পেতে হলে চোখ বাঁধতে হবে। তখন মেয়েটির ওড়না দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। এ সুযোগে পকেট থেকে চাকু বের করে বুকে পেটে আঘাত করে। একই সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয়। সবশেষে মেয়েটির গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে চাকু ভেঙে ফেলে দেয়। ওড়নাটি বাড়িতে এনে পুড়িয়ে ফেলে। ইতোমধ্যে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে সে।’