খুলনার ৪ হাসপাতালে ফের মৃত্যু বেড়েছে

খুলনার সরকারি-বেসরকারি চারটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ফের মৃত্যু বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে পাঁচ, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুই, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক ও গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিন জন মারা গেছেন।

খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর বাবুখান রোডের আ. বারেক (৭২), খালিশপুরের খাদিজা (৫০), ডুমুরিয়ার নাসিমা (৪৫), বটিয়াঘাটার রোকসানা (৩৫) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের মারুফা বেগম। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ জন। তাদের মধ্যে রেড জোনে ৩৯, ইয়েলো জোনে ৩৮ ও আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন আট জন। আর সুস্থ হয়েছেন আট জন।

আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর ১০ সুলতান আহমেদ রোডের রায়হান চৌধুরী (৪০) ও গোয়ালখালী ১৪১ মেইন রোডের সুফিয়া বেগম (৫৮)। করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জন ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়েছেন চার জন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে বাগেরহাটের শরণখোলার মো. ইব্রাহিম (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫ জন, তার মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন নয় জন। আর সুস্থ হয়েছেন সাত জন।

গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর আমতলা মোড়ের নুরুন্নাহার (৪৪), জোড়াকল বাজারের রামকৃষ্ণ সাহা (৭৫) ও নড়াইলের দুর্গাপুরের অসীম ভট্ট (৪৭)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন সাত জন।

এদিকে সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৬৮ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সাত জন।