রূপসায় মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১০

খুলনার রূপসায় মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (০৮ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় সতর্ক নজরদারি করে এবং ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের জোর প্রচেষ্টা চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় রূপসা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু বাদী হয়ে শনিবার রাতেই মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিয়ালি গ্রামে চারটি মন্দির, ছয়টি দোকান এবং দুই বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, শেখপুরা, বামনডাঙ্গা এবং চাঁদপুর এলাকার শতাধিক যুবক সংঘবদ্ধভাবে শিয়ালি মহাশ্মশান মন্দিরে হামলা চালায়। তারা সেখানকার সব প্রতিমা এবং শ্মশানের যাবতীয় উপকরণ ভাঙচুর করে। এরপর তারা শিয়ালি পূর্বপাড়া এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় পূর্বপাড়ার হরি মন্দির, শিয়ালি পূর্বপাড়া দূর্গা মন্দির এবং শিবপদ ধরের গোবিন্দ মন্দিরের সব প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদ রূপসা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন বলেন, হামলায় চারটি মন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রশাসনের।