দুই বিদ্রোহীর হামলায় নৌকার প্রার্থীসহ আহত ৯

সাতক্ষীরার কলারোয় উপজেলায় ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের উত্তরপাড়া মসজিদ এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের হামলায় নৌকার প্রার্থীসহ ৯ জন আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে সাত জনকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন- মোছলেউদ্দীন গাইনের ছেলে ও নৌকার প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইন (৫৫), কিতাবুদ্দীন গাজীর ছেলে সিরাজুল গাজী (৪৫) ও ফারুক গাজী (৫৭), শাহজাহান গাজীর স্ত্রী আনেছা (৫৫), রেজাউল ইসলামের ছেলে শহীদ হোসেন (২৫), আজিজুল সর্দারের ছেলে মন্টু (২৫), আব্দুল আলীর ছেলে আব্দুল বারিক (৫০), গোলাম মোস্তফা গাইনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৬) ও তবিবর গাজীর স্ত্রী বৃষ্টি (১৮)।

তাদের সবার বাড়ি একই গ্রামে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে সিরাজুল গাজী ও আনেছাকে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরের দিকে বোয়ালিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেনের মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনি কার্যালয়ে নৌকার কর্মীরা ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিকালে মারুফ হোসেনের কর্মীরা পাল্টা কাকডাঙ্গা মোড়ে নৌকার নির্বাচনি কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। রাত ৮টার দিকে বোয়ালিয়া উত্তরপাড়ায় আ.লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল ও নৌকার কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইন ঘটনাস্থলে গেলে তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েন নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। 

কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দশজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। নারীসহ আহত দুই জনকে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে সাত জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।'

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খাইরুল কবীর বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনোভাবেই নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।