কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য, বাগেরহাটে আ.লীগের ২১ নেতা বহিষ্কার

বাগেরহাটে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দুই উপজেলার ২১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে মোরেলগঞ্জের ১৪ ইউনিয়নের ১৭ এবং চিতলমারীর তিন ইউনিয়নের চার জন নেতা রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ উপজেলার ১৭ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, একইভাবে ৭ সেপ্টেম্বর চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় উপজেলার বিদ্রোহী চার প্রার্থীকে বহিষ্কার করেন।

মোরেলগঞ্জ বহিষ্কৃতরা হলেন, হোগলাপাশা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম নান্না, একই ইউনিয়নের ইলিয়াস হোসেন ও ফরিদুল ইসলাম; তেলিগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, পঞ্চকরণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম বাবুল, পুটিখালী ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান শিকদার, রামচন্দুপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, চিংড়াখালীর হুমায়ুন কবির ও কামরুজ্জামান মিঠু, বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়দেব পাইক, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আহসান পলাশ, বহরবুনিয়ায় তালুকদার মোস্তাফিজুর রহমান, জিউধরা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, বারুইখালীর আউয়াল খান মহারাজ, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মধু, বলইবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খ. ম লুৎফর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন।

অন্যদিকে, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের অহিদুজ্জামান পান্না শেখ, কলাতলার শিকদার মতিয়ার রহমান ও শেখ ফরিদ এবং চিতলমারী সদরের সাহেব আলী ফরাজীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ থেকে পাঠানো চিঠি মোতাবেক মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ১৭ বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’