বিলের খবর নিতে যাওয়া ঠিকাদারকে জেলা পরিষদে মারধরের অভিযোগ

‘বিলের খবর নিতে গিয়ে’ খুলনা জেলা পরিষদে মফিজুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে জেলা পরিষদ অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। ঠিকাদার মফিজ খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম জানান, করোনাকালে তিনি টেন্ডার পেয়ে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ও মাস্ক) সরবরাহ করেন। এর বিল এখনও পাননি তিনি। বিলের বিষয়ে খবর নিতে বুধবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমানের দফতরে যান। ঠিকাদার মোহাম্মদ আলীও তার সঙ্গে ছিলেন। এ সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে তার ঘনিষ্ঠ সহচর সুজন বসা ছিলেন। বিলের বিষয়ে কথা শুরু করতেই প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুজন ক্ষিপ্ত হন।

ঠিকাদারের অভিযোগ, ‘অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি। রুমের বাইরে এলে সুজনও বাইরে আসে এবং চড় কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ সময় সুজনের হাতে থাকা ভারি ধাতব বস্তু দিয়ে কপালে সজোরে আঘাত করেন। এতে আমার কপাল ফেটে যায়। সেখানে চারটি সেলাই লেগেছে।’

সঙ্গে থাকা ঠিকাদার মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, ‘সুজন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে থেকে এবং অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে। আমরা বিল নিয়ে কথা বলতে গেলে সে পাশ থেকে ধমকাতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা মাহবুবের রুম থেকে বের হলে রুমের সামনেই মারধর করা হয়। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জেলা পরিষদের সচিব বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এলে আলোচনা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদাররা আলাদা আলাদাভাবে আসার পর সবাই একত্রিত হয়। এরপর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে জেলা পরিষদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আর করোনাকালে যে টেন্ডারের কথা বলা হচ্ছে- তা মফিজ ঠিকাদার পাননি। পেয়েছেন অন্য ঠিকাদার। ওই টেন্ডার ইতোপূর্বেই বাতিল করা হয়েছে। টেন্ডারটি নতুন করে আহ্বানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বুধবার সৃষ্ট ঘটনাটি ঠিকাদারদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমার ঘনিষ্ঠ হিসেবে যে সুজনের কথা বলা হচ্ছে, সে আমার একান্ত কেউ নয়। সেও একজন ঠিকাদার।’