আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ: যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব, হিসাব সহকারীসহ পাঁচ জনের নামে মামলা করেছে দুদক। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। দুদক যশোরের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি কোষাগারে জমার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার নয়টি চেক ইস্যু করে। এ নয়টি চেক জালিয়াতি করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে এক কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং শাহীলাল স্টোরের নামে ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। ১০ অক্টোবর বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা দুদক কার্যালয়ে গিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করেন। সরকারি ছুটি থাকায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দুই দিন পর এ মামলা করেন তিনি। মামলার পর ওইদিনই বেলা ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পেয়ে আজ বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার মানসিকতায় দুর্নীতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, আইডি নং-৬০৬৯ চেকে স্বাক্ষর এবং অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করেন।
মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।’

আরও খবর:  যশোর বোর্ডের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকে অভিযোগ