মোংলায় পণ্য ওঠানামা বন্ধ, তলিয়ে গেছে ৮ শতাধিক মাছের ঘের 

টানা বৃষ্টির কারণে দুই দিন ধরে মোংলা বন্দরে ২০টি বিদেশি জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মোংলা ও রামপালের আট শতাধিক মাছের ঘের। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা মৎস্য বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন বলেন, দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি। বন্দরে অবস্থানরত চাল-সারসহ বিভিন্ন পণ্যভর্তি ২০টি জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। বন্দর জেটিতে অবস্থানরত রূপপুর পারমাণবিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি নিয়ে আসা একটি জাহাজে পণ্য খালাস চলছে। আবহাওয়া ভালো হলে এসব জাহাজের পণ্য নামানোর কাজ শুরু হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল বলেন, টানা বৃষ্টিতে জেলার আট শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। তবে এতে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মোংলা বন্দরে ২০টি বিদেশি জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ বন্ধ রয়েছে

মোংলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র মোংলা উপজেলায় বৃষ্টির পানিতে চাঁদপাই, চিলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ছোট-বড় ৪৯৫টি চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। দুই দিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা পোর্ট পৌর শহরসহ জেলার নয় উপজেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও পুকুরসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও। জোয়ারে নদী-খাল ভরা থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় সোমবার থেকে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য মোংলা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় অব্যাহত থাকবে।