বাঁশ কাটায় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘরের ওপর নুয়ে পড়া বাঁশ কাটায় আল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে খুলনার একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আল ইসলাম কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়নের বাদুরগাছা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

কালীগঞ্জের সুবর্নসরা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিয়ার রহমান জানান, আল ইসলামের বাড়ির ওপর প্রতিবেশী সোহেল হোসেনের ঝাড়ের বাঁশ নুয়ে পড়েছিল। বাঁশগুলো কেটে নিতে দীর্ঘদিন ধরে বলা হলেও কাটছিলেন না সোহেল। গত ১৮ অক্টোবর আল ইসলাম নিজেই ঘরে চালে নুয়ে পড়া তিনটি বাঁশ কেটে দেন। 

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আল ইসলাম বাড়ির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ ও গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে সোহেল, হবিবর শেখের ছেলে মস্ত ও তার স্ত্রী শান্তা খাতুন, হবিবর শেখের স্ত্রী আনু খাতুন ও মেয়ে শিলিফা খাতুন হামলা করে। স্বামীকে ঠেকাতে গিয়ে আল ইসলামের স্ত্রী নাজনীন নাহার শিলাকে হেনস্তা করা হয়। তারা আল ইসলামকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। 

শিলা জানান, প্রথমে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তির পর আল ইসলামের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। পরে খুলনার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হলে রবিবারর বিকালে তিনি মারা যান। 

কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।