সাতক্ষীরায় ১০ সাংবাদিক পেলেন মিডিয়া ফেলোশিপ

সাতক্ষীরায় অ্যাকশন ফর ইমপ্যাক্ট প্রকল্পের আওতায় ১০ সাংবাদিককে 'মিডিয়া ফেলোশিপ- ২০২১ দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে দৈনিক পত্রদূত ও এনজিও সংস্থা হেডের আয়োজনে অ্যাডভোকেসি সভা ও সনদ বিতরণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে সভা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের সমাজে নারী ও শিশু শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য মজুরি পায় না। সে জন্য মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও কর্মশোভন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, হেড সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাইন ও পত্রদূতের বার্তা সম্পাদক এস এম শহিদুল ইসলাম।

উপযুক্ত কাজের পরিবেশ, নারী ও শিশু শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্যসহ নানা বিষয় উঠে আসে রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে। এর আগে সাতক্ষীরায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা দুই দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে মাসব্যাপী রিপোর্টিংয়ে অংশ নেন।  

ফেলোশিপ পাওয়া ১০ সাংবাদিক হলেন দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সুভাস চৌধুরী, জনকণ্ঠের মিজানুর রহমান, সময়ের খবরের রুহুল কুদ্দুস, পত্রদূতের বার্তা সম্পাদক এস এম শহিদুল ইসলাম, মোহনা টিভির মো. আব্দুল জলিল, খোলা কাগজের ইব্রাহিম খলিল, চ্যানেল নাইনের কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, পত্রদূতের নাজমুল শাহাদাৎ জাকির ও ইব্রাহিম খলিল।

তাদের ফেলোশিপের জন্য মনোনীত করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে থেকে তিনজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এতে প্রথম হন বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সরদার, দ্বিতীয় হন দৈনিক বাংলার এসএম শহীদুল ইসলাম এবং তৃতীয়  মোহনা টিভির মো. আব্দুল জলিল।