আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ: মেয়রসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।

লোক নিয়োগ এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলা দুটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দুদক খুলনার উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান এ তথ্য  জানিয়েছেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে পাম্প অপারেট হিসাবে দিপু দাসসহ ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত এক কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই মামলার এক নম্বর আসামি বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান।

অন্য আসামিরা হলেন—দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), শহিদুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক), হাসান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার রায় (পাম্প চালক), মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সৌদি করিম (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (কর আদায়কারী) ও সেতু পাল (সহকারী হেলপার)। তারা পৌরসভার সাবেক কর্মী।

আরেক মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ দুই জনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

এজাহারে বলা হয়েছে, বাগেরহাট ডায়াবেটিস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পৌর মেয়র এই নির্মাণ কাজ না করে এক কোটি টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন। হবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব বর্তমানে মাগুরা পৌর সভার সচিব মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।