‘হয়তো এটাই জীবনের শেষ ভোট’

কমেলা খাতুনের বয়স ১০৩ বছর। শারীরিক অসুস্থতা ও বয়সের ভারে হাঁটাচলা করতে পারেন না। সারাদিন শুয়ে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাতি বখতিয়ার হোসেন মেম্বার প্রার্থী। তাই তাকে ভোট দিয়ে জেতাতে ভ্যানে চড়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন তিনি।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের হাকিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন কমেলা খাতুন। তিনি হাকিমপুর গ্রামের মৃত তাহেজ উদ্দিনের স্ত্রী।

কমেলা খাতুনের পুত্রবধূ মিনি খাতুন জানান, দীর্ঘদিন প্যারালাইজড হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। অসুস্থ হলেও নাতিকে জেতাতে নিজের ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছেন।

কমেলা খাতুন বলেন, ‌‘বয়স হয়েছে। হয়তো এটাই জীবনের শেষ ভোট। আর জীবনে ভোট দিতাম পারুম কি-না ঠিক নেই। আর আমার নাতি ভোট দাঁড়াইছে। তাই তাকে জেতাতে ভোট দিতে আইলাম।’

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার দুই লাখ ২৫ হাজার ৫০৩ জন।