নমুনা না দিয়েই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেলেন তিন বিদেশগামী

খুলনায় বিদেশগামীদের নমুনা নেওয়ার আগেই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন তিনটি সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে। যাদের নমুনা নেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর)। অথচ এই তিন জন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেয়েছেন সোমবার (৬ ডিসেম্বর)।

তাদের সার্টিফিকেটে দেখানো হয়েছে, ৫ ডিসেম্বর নমুনা নেওয়া হয়েছে। খুলনায় এই প্রথম নমুনা পরীক্ষার আগেই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পাওয়ার ঘটনা ঘটলো।

বিষয়টি স্বীকার করে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, নমুনা নেওয়ার আগে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ল্যাব ইনচার্জ মো. রওশন আলী বলেন, বিদেশগামীরা করোনা পরীক্ষার জন্য আগে ফরম সংগ্রহ করেন। ফরম পূরণ করে নমুনা দেওয়ার জন্য এক হাজার ৫০০ টাকা ফি দিতে হয় তাদের। পরে জেনারেল হাসপাতালে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফরোয়ার্ডিংসহ এই নমুনা পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনা পাঠানোর আগে কীভাবে বিদেশগামীরা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেলেন, এটি বোধগম্য নয়। এ সম্পর্কে খুমেকে কর্তৃপক্ষ সঠিক তথ্য দিতে পারবেন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার ১৬০ জন বিদেশগামীর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে ভারতে যাওয়ার জন্য শান্তি বালা, রবিন চন্দ্র লস্কর ও শ্রীবাছ লস্কর নমুনা দিয়েছেন। 

নিয়ম অনুযায়ী এই তিন জনের নমুনা বুধবার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, শান্তি বালা, রবিন চন্দ্র লস্কর ও শ্রীবাছ লস্করের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫ ডিসেম্বর এবং নমুনা পরীক্ষার সময় ৬ ডিসেম্বর। তাদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রস্তুত হয়ে গেছে।

রবিন চন্দ্র লস্কর ও শ্রীবাছ লস্করের সার্টিফিকেট

শান্তি বালা, রবিন চন্দ্র লস্কর ও শ্রীবাছ লস্কর জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ওয়েবসাইট থেকে সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে প্রিন্ট করেছেন তারা। মঙ্গলবার নমুনা দেওয়ার জন্য তাদের ডাকা হয়। পরে সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে এসে আবার নমুনা দেন তারা।