খুলনা জেলা-মহানগর যুবলীগের শীর্ষ দুই পদে ১৯ প্রার্থী

আগামী ২২ জানুয়ারি খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে মহানগরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একজন করে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। জেলায় সভাপতি পদে ছয় জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলনের লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। সে লক্ষ্যে পদপ্রত্যাশীরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। খুলনা মহানগর যুবলীগে সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন।

দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা বলেন, খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া ছয় জন হলেন অজিত বিশ্বাস, সরদার জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন বাবু, আরাফাত হোসেন পল্টু, চৌধুরী রায়হান ফরিদ ও হাদীউজ্জামান হাদী। 

এ ছাড়া জেলায় সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া ১১ জন হলেন এবিএম কামরুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. পারভেজ হাওলাদার, মো. মুশফিকুর রহমান সাগর, তসলিম হুসাইন তাজ, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পী, মো. আবু সাঈদুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান সাগর, জলিল তালুকদার, মো. কামরুজ্জামান মোল্লা ও হারুন উর রশিদ।

যুবলীগের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার আগামী সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ছয় জানুয়ারি। 

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ বলেন, ২২ জানুয়ারি সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন সফল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সম্মেলন ঘিরে নগরীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সফিকুরর রহমান পলাশকে আহ্বায়ক ও শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১ এপ্রিল বিশেষ সাধারণ সভায় ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি সম্মেলনের ঘোষণা করা হয়। 

অপরদিকে, ২০০৩ সালের ২৫ মে জেলা যুবলীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কামরুজ্জামান জামাল সভাপতি ও আক্তারুজ্জামান বাবু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাঁচ-ছয় মাস পর ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন সম্মেলন বা কাউন্সিল না হওয়ায় জেলা যুবলীগের বর্তমান সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছিল স্থবির। নয় উপজেলা ও ৬৮টি ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে আগেই। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল ও আক্তারুজ্জামান বাবু জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপর সম্মেলনে তারা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। আক্তারুজ্জামান বাবু বর্তমানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য।