সরকারি নির্দেশ না মেনে খোলা রাখায় ১০ কোচিং সেন্টারকে জরিমানা

করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই কোচিং সেন্টারগুলো। মহামারির সংক্রমণকে তোয়াক্কা না করে সশরীরে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকরা। খুলনা মহানগরীর পিটিআই মোড়, শান্তিধাম মোড়, রয়্যালে মোড়, কমার্স কলেজ মোড়, বয়রা, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চালু রয়েছে এসব কোচিং ব্যাচ। এ কারণে অভিযানে নেমেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রথম দিনের অভিযানে ১০টি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ১০ মামলায় সাড়ে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক ও শারমিন জাহান লুনা। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য ও লাইসেন্সবিহীন কোচিং সেন্টার পরিচালনার দায়ে কোচিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারীদের জরিমানা করা হয়। ১০ মামলায় মোট সাড়ে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সরকারি নির্দেশ বলবৎ থাকা অবস্থায় কোচিং সেন্টারও বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়। একইসঙ্গে যথাযথ লাইসেন্স নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্যও বলা হয়।

বয়রা এলাকার তরিকুল ইসলাম জনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও খোলা রয়েছে কোচিং। এ মহৎ পেশাটি বর্তমানে ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এক শ্রেণির শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোচিং পরিচালনা করে আসছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোযোগ না দিয়ে বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারে দিকে বেশি ঝুঁকেছেন।’

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যাচ পড়লে তেমন ক্ষতি হবে না।’

খুলনা শন্তিধাম এলাকার শিক্ষক অরুপ বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অনুরোধে ব্যাচ পড়ানো হচ্ছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কার্যক্রম চলছে।’

খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও খুলনা মহানগরীতে বেসরকারিভাবে পরিচালিত কোচিং সেন্টার ও টিউটোরিয়াল স্কুলগুলোতে সশরীরে উপস্থিত থেকে পাঠদান চলছে। যা সরকারি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছিল। তাই এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে।’