মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, নমুনা আসবে ঢাকায়

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন রুপার খাল থেকে উদ্ধার মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জেল হোসেন ময়নাতদন্ত করেন।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন রুপার খাল থেকে ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও চার ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার আনুমানিক ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করে বন বিভাগ। শনিবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামছুল আরেফিনের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দল বাঘটিকে দুবলার চর থেকে শরণখোলায় নিয়ে আসেন। পরে শরণখোলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জেল হোসেন মৃত বাঘের দাঁত, চামড়া, লিভার, ফুসফুস ও পাকস্থলীসহ বিভিন্ন অঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় পশু অনুসন্ধান ও গবেষণা কেন্দ্র ঢাকায় পাঠান।

আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বাঘের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. লুৎফর পারভেজ।

এ বিষয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন বাসিন্দা ও তাফালবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. আব্দুল মালেক রেজা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বাগেরহাটের আহ্বায়ক নুর আলম শেখ দাবি করেন, বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবন থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের পর স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হলেও আসল রহস্য উদঘাটন হয় না। গতকাল বাঘের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বন বিভাগ বলেছে, বাঘটি খালের পাশে পানি পান করতে গিয়ে নদী চরে আটকা পড়ে মারা গেছে। এ প্রাণীর মৃত্যুর বিষয়ে বন বিভাগের ধারণা হাস্যকর এবং রহস্যজনক।

সুন্দরবন বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, ২০২১ সালে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি মৃত বাঘের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বাঘের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সেগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

২০২১ সালের ১৯ মার্চ সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ধুনছেবাড়িয়া চর থেকে আনুমানিক ১৪-১৫ বছর বয়সী সাত ফুট দৈর্ঘ্যের ও তিন ফুট উচ্চতার এবং একই বছরের ৭ নভেম্বর সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের চুনকুড়ি রাজাখালী খালের পাশ থেকে আরও দুটি মৃত বাঘ উদ্ধার করে বন বিভাগ।