‘ভালো আছি চিন্তা করবেন না’, ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজ থেকে ফয়সাল

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধিতে’ বোমা হামলা হয়েছে। এতে হাদিসুর রহমান আরিফ নামে জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। হামলায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জাহাজটি। ওই জাহাজে আটকে পড়েছেন ২৮ বাংলাদেশি নাবিক-ক্রু। এর মধ্যে একজন হলেন কুষ্টিয়ার ফয়সাল আহমেদ সেতু।

এদিকে, আটকে পড়া নাবিক-ক্রুদের ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকালে ফয়সাল ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার পিতাকে বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘চিন্তা করবেন না, ভালো আছি’। ফয়সালের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের তারাগুনিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম ফারুক আহমেদ। তিনি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে পাস করার পর চট্টগ্রামে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন ফয়সাল। এরপর চার মাস ধরে এই জাহাজে ইন্টার্নশিপ করছেন ফয়সাল। জাহাজটির ডেক ক্যাডেট হিসেবে কর্মরত আছেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ফয়সালের বাবা ফারুক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবশেষ বিকাল ৫টার দিকে ‘‘চিন্তা করেন না, ভালো আছি’’ এই মেসেজ পাঠিয়েছে। এরপর আর তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধিতে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ফয়সাল নাক ও হাতে আঘাত পেয়েছে। তবে গুরুতর না। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যায় সে। এরপর যেটুকু যোগাযোগ হয়, সেটা মেসেঞ্জারে।’

ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা এ বাবা আরও বলেন, ‘ঘটনার পর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) কার্যালয় থেকে লোকজন যোগাযোগ করেছেন। এ ছাড়াও স্থানীয় থানা থেকেও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমার চাওয়া ২৮ জনের সবাইকে যেন নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চাই।’