১৫ বছরের কিশোরীর সঙ্গে ৩৯ বছরের কারাবন্দির বিয়ে

ধর্ষণের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে থাকা এক আসামির সঙ্গে সেফ হোমে থাকা হাজতির বিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১) দুপুর আড়াইটার দিকে কারাবন্দি রায়পাড়ার রফিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে একই এলাকার সুখমনির বিয়ে হয়।

খুলনা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। আসামি খুলনার কারাগারেই ছিল। সুখমনিও কারাগারের হাজতি। তবে সে নিরাপত্তা হেফাজতের হওয়ায় তাকে বাগেরহাট সেফ হোমে রাখা হয়েছিল। বিয়ের জন্য দুই দিন আগে সুখমনিকে এখানে আনা হয়। 
তিনি জানান, হাইকোর্টের অনুমতি ও দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেল সুপার মো. ওমর ফারুক, জেলার মো. তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. ফখরউদ্দিন, ডেপুটি জেলার মো. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টরসহ বিভিন্ন পদে নিয়োজিত কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীরা। 

জানা গেছে, কারাগারের অফিস কক্ষে খুলনা জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে ৩৯ বছর বয়সী রফিকুলের সঙ্গে ১৫ বছর বয়সী সুখমনির বিয়ে হয়। খুলনা থানার মামলায় গত ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।

তবে ওই কিশোরীর বাল্যবিয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল হক বলেন, ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী আদালতের অনুমতি ও উভয়ের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় এ ধরনের বিয়ে দেওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘ছেলেটি ছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার। আর মেয়েটিকে ওই বাড়িতে কাজ করতো। ঘটনার সময় মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এ কারণে মেয়েটির অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার আবেদন জানালে আদালত তা আমলে নেন। এ কারণে মেয়েটি বাগেরহাট সেফ হোমে ছিল।’