৮ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আরিফুল ইসলাম হিটলু (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বেড়েরবাড়ি বুড়িভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের একটি পরিবারিক কবরস্থানে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। হিটলু বেড়েরবাড়ি বুড়িভিটা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জুয়া ও মাদকসহ মোট আটটি মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধুনট ও শাজাহানপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসাতো। বেড়েরবাড়ি গ্রামের আবদুল মালেক নামে একজন জুয়ার আসর পরিচালনা করেন। হিটলু সম্প্রতি শাজাহানপুর উপজেলার খালপার ব্রিজের উত্তর পাশে জুয়ার আসর বসান। জুয়ার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শনিবার বিকালে তার সহযোগী আবদুল মালেকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় জুয়ার আসরের পাশে মাদক সেবন করছিলেন হিটলু। এ সময় আবারও বাগবিতণ্ডা হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মালেককে আঘাত করে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর হিটলু নিজ এলাকা বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে মাদক সেবন শুরু করে।সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজন এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এরপর লাশ গুম করার জন্য নিয়ে যায়। হিটলু নিখোঁজ থাকার খবর ধুনট ও পাশের শাজাহানপুর উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। আজ দুপুর ১২টার দিকে শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ফুলকোট উত্তরপাড়ায় পারিবারিক গোরস্থানে মাটিচাপা লাশ দেখতে পাওয়া যায়।

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম জানান, হিটলুর পিঠে, গলায়, দুই পায়ের গোড়ালি ও ডান হাতের কনুইয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। তাকে অন্যত্র হত্যা করে কবরের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, হিটলুর বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি, জুয়া ও মাদকসহ আটটি মামলা রয়েছে। আড়াই মাস আগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায় সে। বিকাল পর্যন্ত হত্যার ঘটনায় কোনও মামলা হয়নি। লাশ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।