টর্চারসেলে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, অভিযুক্ত মেম্বারসহ গ্রেফতার আরও ৪

মোংলায় টর্চারসেলে আটকে দুই ভাইকে বিবস্ত্র করে পাঁচ ঘণ্টা নির্যাতন ও হত্যাপ্রচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ও চাঁদপাই ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুলতান হাওলাদারসহ (৫০) চার জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। ইউপি সদস্য ছাড়া গ্রেফতার অপর তিন জন হলেন মেম্বার বাহিনীর সদস্য খোকন ঘোষাল (৩০), বেল্লাল খাঁ (৪৫) ও মো. নিয়ামুল ব্যাপারী (৩০)। এদের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর ও কালিকাবাড়ি গ্রামে। 

টর্চার সেলে দুই ভাইকে নির্যাতন, মেম্বারপুত্র গ্রেফতার

সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে র‌্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্ধ্যায় র‌্যাবের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে ওই চার আসামিকে গ্রেফতার করে। 

নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্য সুলতান হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদারকে রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মোংলার কানাইনগর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

র‌্যাব জানায়, শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকার নামে দুই ভাইকে তুলে নেয় মেম্বার সুলতান ও তার দুই ছেলেসহ অন্য সহযোগীরা। পরে তাদের সিঙ্গাপুর মার্কেট ও কাইননগর গুচ্ছগ্রামে নিয়ে টর্চারসেলে আটকে বিবস্ত্র করে ৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় নির্যাতিতদের ভাই কাইনমারী গ্রামের কুমুদ সরকার বাদী হয়ে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান হাওলাদার তার ছেলে জাকির হাওলাদার ও কালাম হাওলাদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটসহ হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।