বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় টর্চার সেলে আটকে রেখে দুই ভাইকে নির্যাতনের অভিযোগে জাকির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৭টায় উপজেলার কানাইনগরের জোড়া সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাকির চাঁদপাই ইউয়িনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান হাওলাদারের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৬ এপ্রিল) ওই মেম্বারের টর্চার সেলে বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকার নামে দুই যুবককে বিবস্ত্র করে দফায় দফায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় সুলতান ও তার ছেলে জাকিরসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ভুক্তভোগী বিনোদ ও বিপ্লবের ভাই কুমুদ সরকার শনিবার রাতে মোংলা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাদীউজ্জামান খান বলেন, জাকিরের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর আগে ২১ মার্চ ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে কানাই নগর থেকে তাকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করেছিল পুলিশ।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই যুবককে নির্যাতনের মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদী কুমুদ সরকার বলেন, ‘বিনোদ সরকারের আসবাবপত্রের ব্যবসা রয়েছে। সুলতান মেম্বারের অর্ডার করা আসবাবপত্র ঠিকমতো না দিতে পারায় আমার দুই ভাই বিনোদ ও বিপ্লবকে শনিবার শহরের বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান সুলতান ও তার ছেলেরা। পরে সিঙ্গাপুর মার্কেটে তাদের টর্চার সেলে বিবস্ত্র করে দফায় দফায় নির্যাতন চালায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মেম্বার সুলতান হাওলাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি। মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।