অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে চান সাদিয়া

ছোট থেকেই চিকিৎসক হাওয়ার স্বপ্ন। সে অনুযায়ী শুরু কঠোর অধ্যবসায়। সেই সঙ্গে অদম্য ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগিয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সাদিয়া সুলতানা। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর নাজমুল উলুম সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছাইদুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া। দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ১ হাজার ২৭৬ স্থান অর্জন করেছেন।

সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‌‘আমার এই সাফল্যে সবচেয়ে বড় অবদান আমার মা ও বাবার। তাদের সহযোগিতায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। ভবিষ্যতে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সেই সঙ্গে ডাক্তার হয়ে গ্রামের অসহায় মানুষদের একদিন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই।’

২০১৩ সালে স্থানীয় দারুস সালাম অ্যাকাডেমি থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন সাদিয়া। ২০১৬ সালে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় একই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পান। ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহীর নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। মেয়ের সফলতায় উচ্ছ্বসিত ছাইদুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সাদিয়া লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী। পড়াশোনার বাইরে সে কিছু চিন্তায় করতে পারে না। ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হাওয়া। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তার কৃতিত্বে আমরা সবাই গর্বিত। আশা করি ভবিষ্যতে সে এই সাফল্য ধরে রাখবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ফলাফলে এ বছর ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৪৪ হাজার ৫০৪ জন এবং ছাত্র ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন।