১২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

গুদামজাত পাটের বিপরীতে ব্যাংক ঋণের ১২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খুলনা সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মাহমুদা খাতুন তা না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক থেকে ২০১০ সাল থেকে সিসি প্লেজ ও সিসি হাইপো খাতে দফায় দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নেয় মেসার্স সোনালী জুট মিল। কিন্তু এর বিপরীতে মালামাল না কিনে ওই টাকা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করা হয়। যা বর্তমানে সুদাসলে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে। এ ঘটনায় দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন– মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেন (বুলবুল), সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এবং জুট মিলস, হিমায়িত মৎস্য ও বিবিধ ঋণ বিভাগের ইনচার্জ শেখ তৈয়াবুর রহমান এবং সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার প্রাক্তন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুমার দেবনাথ।

আসামি মেসার্স সোনালী জুট মিলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হোসেন বুলবুল করোনায় মারা গেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরাদ হোসেন, কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমানসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।