পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ফায়ারকর্মী গাউছুল

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় বিস্ফোরণে দগ্ধের আট দিন পর মৃত ফায়ার সার্ভিস কর্মী গাউছুল আজমের (২৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১২ জুন) রাত ১২টায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

সোমবার (১৩ জুন) সকালে গাউছুল আজমের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রবিবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাউছুল মারা যান। তিনি খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। 

মিজানুর রহমান জানান, ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রবিবার বিকাল ৪টায় মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ১১টায় মরদেহবাহী গাড়ি মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। এরপর খাটুয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে ১২টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন: জ্ঞান হারাচ্ছেন ফায়ারকর্মী গাউসুলের মা, স্ত্রী নির্বাক

জানাজা শেষে গাউছুল আজমের কফিনে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (খুলনা) মো. সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক (যশোর) মনোরঞ্জন সরকার, মণিরামপুরের স্টেশন অফিসার প্রণব বিশ্বাস প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ জন। এর মধ্যে ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৪৮ জনের মধ্যে ১৮টি লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তাদের লাশের দাবিতে নমুনা দিয়েছেন স্বজনরা।