ভারতের প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলায় 

বাংলাদেশ-ভারত প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর অংশ হিসেবে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে ভারতের প্রথম ট্রায়াল কার্গো জাহাজ।

রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে ‘এমভি রিশাদ রাইহান’ জাহাজটি বন্দরের ত্রিমোহনা নালায় এসে নোঙর করে। সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাস শুরু হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা রাত সাড়ে ৯টায় বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট রিশাদ রাইহান নামে জাহাজটি ভারতের কোলকাতা বন্দর থেকে দুই ধরনের মেশিনারি পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসে। এর মধ্যে দিয়ে চারটি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু হয়েছে।   

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জে,এসি শিপিংয়ের খুলনার ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার দাশ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গো জাহাজটি বর্তমানে মোংলা বন্দরে অবস্থান করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জাহাজে মার্কস লাইনের দুটি কন্টেইনারের মধ্যে একটি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজের ১৬ দশমিক ৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং অপর কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে আট দশমিক পাঁচ টন প্রিফোম রয়েছে। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারত প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দু’দেশের অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলা বন্দরে এসেছে। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আজ একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।