‘বাংলার মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু লোভনীয় সব পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন’

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ৫০ ও ৬০ এর দশকে ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন। নিজের জীবনের আরামকে তিনি হারাম করেছেন বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলার মানুষের অধিকারের জন্য তিনি লোভনীয় সব পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারই ডাকে ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।’

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় যশোরে ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপাল কলেজে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যখন বঙ্গবন্ধু পুনর্গঠন করছেন তখন আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরা ও তাদের দেশীয় দোসররা মিলে চক্রান্ত করে কীভাবে দেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেওয়া যায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে তারা থামিয়ে দেয়। এরপর ৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মিলে দেশটাকে নব্য পাকিস্তান বানানোর প্রয়াস চালায়। আমাদের সৌভাগ্য যে, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তিনি দেশে এসে দলের হাল ধরেন। তিনি ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে মুক্তিযুদ্ধের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘২০০১ সালে তাকে আবার সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে বাংলার মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে আবার দায়িত্বে আসেন শেখ হাসিনা। সেই ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে চলছে উন্নয়নের কর্মসূচি। সারা পৃথিবীতে বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। শিশু মৃত্যুর হার রোধ, শিক্ষা, নারী শিক্ষাসহ সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারত ও পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে আছি। উন্নয়নের সূচকেও আমরা এগিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রীর একক নেতৃত্বে ও তার প্রয়াসে আমরা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমাদের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে অর্থনীতির চেহারার আমূল পরিবর্তন হবে। এতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরাও উপকৃত হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান মিন্টু, আবু মুসা মধু, মহিলা লীগ সভাপতি লাইজু জামান, হাফিজুর রহমান প্রমুখ। এর আগে কাজী নাবিল আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন।