যশোর সদরকে মডেল উপজেলায় পরিণত করবো: এমপি নাবিল

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা লীগের যারা আছেন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করতে হবে। আপনারা সবাই একত্রিত হয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন। আমরা দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করবো। যশোর সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলায় পরিণত করবো। যশোর জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আগামী নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা আবারও দায়িত্বে আনবো।’

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হামিদপুর মাধ্যমিক স্কুল মাঠে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের সভাপতি ফাতেমা আনোয়ার।

নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আবারও বিএনপি-জামায়াত একত্রিত হচ্ছে। তারা চেষ্টা চালাচ্ছে কীভাবে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা যায়। আপনারা ভুলে যাবেন না, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় বাংলাদেশে সিরিজ বোমা ও গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তাদের সময়ে আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইর উদ্ভব হয়েছিল। তখন দেশে স্লোগান হতো ‘আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান’। তাদের  মিষ্টি কথায় আপনারা ভুলবেন না।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য। তিনি ৫০ ও ৬০-এর দশকে ১৪ বছর জেল খেটেছেন। এরপর ছয় দফা দাবি, গণ অভ্যুত্থানসহ একের পর এক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু সেটি না হয়ে তিনি বাঙালির অধিকার প্রশ্নে আপস করেননি। তার ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে আমরা পাই স্বাধীন দেশ ও পতাকা। ৭২ থেকে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে নির্মাণ করছিলেন তখন স্বাধীনতার শত্রু ও তাদের বিদেশি দোসররা মিলে ষড়যন্ত্র শুরু করে। বঙ্গবন্ধু যখন সব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করতে তাকে হত্যা করে।’

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর একের পর এক সামরিক জান্তা, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সময় বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করে। তখন রেডিওতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের কথা নির্বাসিত করা হয়। পাকিস্তান যে আমাদের শত্রু ছিল এই কথাও রেডিওতে বলা হতো না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন। এরপর এক গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেন। ৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন। তার সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি গৃহীত হয়। নারীদের জন্য দুস্থ, বিধবা, বৃদ্ধ ভাতা চালু করেন। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আবারও দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেন।’