নিখোঁজের ২ বছর পর মিললো যুবকের বস্তাবন্দি লাশ

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় নিখোঁজের দুই বছর পর রানা শরিফ (২৫) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার শাসন গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো—শাসন গ্রামের মো. হোসাইন চৌধুরী (৩৯), মো. নাদিম চৌধুরী (৩২), মো. শহিদুল চৌধুরী (৩২), জুয়েল মোল্লা (৩৪) ও রুহুল আমিন (২৭)। হত্যার শিকার রানা শরিফ ওই গ্রামের শরিফ আহম্মেদের ছেলে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোবাইল ফোনে একটি কল আসার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রানা শরিফ। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। ঘটনার দিন বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পান পরিবারের লোকজন। নিকট আত্মীয়সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও কোনও সন্ধান না পেয়ে এক সপ্তাহ পর মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রানার বাবা শরিফ আহম্মেদ। 

এরপর তার ব্যবহৃত মুঠোফান ও সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে মোল্লাহাট থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার পাঁচ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রানা শরিফকে হত্যার কথা স্বীকার করে তারা। পরে তাদের দেখানো জায়গা শাসন গ্রামের মামুন শেখের বাঁশবাগানের মাটি খুঁড়ে রানার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস জানান, রানা শরিফ কখনও ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন, আবার কখনও ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতেন। পাওনা টাকা এবং মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রানা শরিফের সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরোধ ছিল। এর জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজন রানাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা প্রথমে কৌশলে রানা শরিফকে ডেকে এনে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করায়। পরে সবাই মিলে তার হাত-পা চেপে ধরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করে মাটিচাপা দেয়।