চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতন

মাগুরায় চোর সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার সজিব মোল্লাকে (১২) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে শালিখা উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্লার ছেলে। ওই গ্রামের ছান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত সজীবের চাচা জয়নুর জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সজীব ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এ সময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে আটক করে দোকানে নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করে। তারা তাকে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে পায়ে পেরেক পুঁতে ও হাতুড়ি দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এ সময়  শালিখা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে ভিডিও ধারণ করে চোরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।

শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা জানান, সজিবের অবস্থা গুরুতর, তার পায়ে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শালিখা থানার ওসি বিশারুল ইসলাম জানান, চুরি সন্দেহে সজীব নামের ছেলেটিকে নির্যাতন করা হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ছেলেটিকে উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক হাসানকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।