এক হাট থেকে খুলনা সিটি আয় করেছে দুই কোটি ২১ লাখ টাকা

খুলনা জোড়াগেট কোরবানি পশুর হাটে এবার সাত দিনে ছয় হাজার ২০টি পশু বিক্রি হয়েছে। এ থেকে হাসিল আদায়ের মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আয় হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ চার হাজার ৯৬২ টাকা।

এর আগের বছর ছয় হাজার ৭৬০টি পশু বিক্রি থেকে হাসিল আদায় হয়েছিল দুই কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৫ টাকা। কেসিসি পরিচালিত এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান ছিল। তবে ২০২২ সালের চেয়ে এ বছর ৭৪০টি পশু বিক্রি কম হয়েছে। আর হাসিল আদায় কমেছে সাড়ে চার লাখ টাকা।

এ হাটে ২০২০ সালে পাঁচ দিনে ছয় হাজার ১৬৯টি পশু বিক্রি থেকে হাসিল আদায় ছিল এক কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে এক হাজার ৬৩৬টি পশু বিক্রি কম হয়েছিল। আর হাসিল আদায় কমেছিল ৪৪ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে ৭৭৩টি পশু বিক্রি বেড়ে হাসিল আদায় বেড়েছিল ৪২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

কেসিসির কোরবানির পশুর হাটের সুপারভাইজার নুরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হাটে বেচাকেনা শেষ দুই দিনেই বেশি থাকে। কিন্তু এ বছর শেষ দুই দিনে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে পশু বেচাকেনায় সমস্যা হয়। আর বৃষ্টির কারণে হাটে আসা লোকজন হাসিল আদায় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ায় জটলা সৃষ্টি হয়। ফলে এই নিয়েও সমস্যা হয়। বৃষ্টি না হলে এবার পশু বিক্রি ও হাসিল আদায় বাড়তো।

তিনি বলেন, গত ২২ জুন থেকে এ হাটে বিক্রি শুরু হয়। ২৯ জুন ভোর ৫টায় এ হাটে বিক্রি শেষ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হাটে ছয় হাজার ২০টি পশু বিক্রি হয়। এরমধ্যে চার হাজার ৮৯টি গরু, এক হাজার ৯১১টি ছাগল ও ২০টি ভেড়া। এ থেকে কেসিসি হাসিল হিসেবে পেয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ চার হাজার ৯৬২ টাকা।

উল্লেখ্য, কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য প্রতি বছর নগরীর জোড়াগেট পাইকারি কাঁচাবাজারে পশুর হাট বসায় কেসিসি। আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাট পরিচালনা করতো। ২০০৯ সালে এ হাট থেকে কেসিসির আয় ছিল ৪৭ লাখ টাকা। ২০১১ সাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাট পরিচালনার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। সেই থেকে এ হাটের মাধ্যমে কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে খুলনা সিটি করপোরেশন। ২০১১ সালে আয়ের পরিমাণ ছিল এক কোটি ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৭১ টাকা। বিক্রি হয়েছিল আট হাজার ৩৯৬টি পশু।