সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এমপিকে থামালেন আ.লীগ নেতা

খুলনার কয়রায় এক সভায় এমপি (খুলনা-৬ আসন) মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বক্তব্য দেওয়ার সময় তাকে থামিয়ে দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজা। এ সময় তিনি এমপির উদ্দেশে বলেন, ‘দলের ১২টা বাজাবেন না’। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, বুধবার কয়রার কালনা আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক সভায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু ওই জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে উৎসাহমূলক কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় মঞ্চে বসে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজা উত্তেজিত হয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং ধমক দিয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন।

এ সময় তিনি সংসদ সদস্যকে বলেন, ‘উসকানিমূলক কথা বলবেন না, আপনি অনেক করেছেন। দলের আর ১২টা বাজাবেন না।’

সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সভা মঞ্চ থেকে বক্তব্যের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ঘোষণা করলে তার অনুসারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। সংসদ সদস্য বক্তব্য দেওয়ার সময় স্লোগানধারীদের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতিবাদ জানালে তাৎক্ষণিক বক্তব্য শেষ করেন।

জি এম মহসিন রেজা বলেন, ‘দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে পাওয়া না পাওয়ার ক্ষোভ আছে। এ কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের মনের শক্তি ফিরে পেতে সাতটি ইউনিয়নে শোকসভার আয়োজন করা হয়। প্রোগ্রামগুলো দেখে জনগণও বুঝবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক। এখানে কেউ কারও বিরুদ্ধে নয়। উনি (সংসদ সদস্য) প্রোগ্রামে বারবার ১০-১২টা ছেলে নিয়ে যান। যখন বক্তব্য দেন তখন ওই ছেলেগুলো শুধু স্লোগান দেয়।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু জেলার সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যের সময় ওই ছেলেগুলো স্লোগান দেয় না। তাহলে দলের সিনিয়র নেতাদের যে অপমান করা হয় এ বিষয়টা সংসদ সদস্য বুঝতে চান না। বুধবারের প্রোগ্রামে সময় স্বল্পতার কারণে আমিও তিন মিনিটের বেশি বক্তব্য দিতে পারিনি। বক্তব্যের জন্য সংসদ সদস্যের নাম ঘোষণার সময় তার অনুসারীরা স্লোগান শুরু করলে আমি নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে স্লোগান দিতে থাকে। এমপি নিজেও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করি।’

এমপি আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এটা কোনও সমস্যা বা দ্বন্দ্ব নয়। দলীয় কর্মকাণ্ড চালাতে গেলে অনেক কিছুই হয়। ওই শোকসভায় কার সময় স্লোগান দেওয়া হবে আর কার সময় দেওয়া হবে না এ নিয়ে একটু বাগবিতণ্ডা হয়েছে। আবার সব ঠিক হয়ে গেছে। ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল, তা থেকেই এই বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এটা হতেই পারে।’