স্লুইস গেট ভেঙে লবণ পানিতে প্লাবিত হাজার বিঘা জমি

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ডুমুরিয়া উপজেলার জিয়েলতলা স্লুইস গেটের বিকল্প বাঁধ ভেঙে ৮টি বিলের প্রায় হাজার বিঘা ফসলি জমি লবণ পানিতে প্লাবিত। গত চার-পাঁচ দিন ধরে জোয়ারের লবণ পানিতে বিলগুলো প্লাবিত হলেও বাঁধ আটকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ফলে শিবপুর, বালুইঝাকি, জিয়েলতলা, বলাবুনিয়া, ধোপাকান্দর, মমল, নিমের শীষ বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা বোরো ধানের খেত লবণ পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গনি বলেন, ইউনিয়নে জিয়েলতলা ৩ ভেন্টের স্লুইস গেটটি অকেজো থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। গেটটি সংস্কারের জন্য নদীর মুখে যেন তেনভাবে বাঁধ দেওয়া হয়। গত মাঘী পূর্ণিমার সময় জোয়ারের পানির প্রবল চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়। স্লুইস গেটের কপাট না থাকায় জোয়ারের পানি মুহূর্তের মধ্যে বিলে ঢুকে পড়ে। এর ফলে এলাকাবাসী ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শনিবার তারা নিজেরাই বাঁশ, দঁড়ি দিয়ে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করে।

শিবপুর গ্রামের দলিল উদ্দিন বলেন, গত ৪/৫ দিন আগে বাঁধটি ভেঙে যায়। কিন্তু ওয়াপদার লোক (পানি উন্নয়ন বোর্ড) ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা বাঁধটি আটকায়নি। প্রতিদিন ভাঙা গেট দিয়ে পানি উঠে বিলে ঢুকছে।

বলাবুনিয়া গ্রামের সমর মল্লিক ও বালুইঝাকি গ্রামের মহাদেব মিস্ত্রি জানান, বলাবুনিয়া বিলে তিনি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। এখন ধান গাছের গোড়ায় নোনা পানি উঠেছে এবং পানি আটকে আছে। যদি পানি এভাবে আটকে থাকে তবে ধান গাছ মারা যাবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, বোরো ধানের চারা নোনা পানি সহ্য করতে পারে না। লবণের মাত্রা বেশি হলেই ধান গাছ মরে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৬ নম্বর পোল্ডারের এসও (সেকশন অফিসার) মো. আব্দুস সোবহান বলেন, মাঘী পূর্ণিমার জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে গেছে। বিলের পানি না নামা পর্যন্ত বাঁধ আটকানো যাবে না। পানি নেমে গেলে বাঁধ আটকানোর কাজ করা সহজ হবে।

 

/জেবি/এসটি/