শরীরে বাঁধা স্বর্ণের ওজনে ডুবে যায় চোরাকারবারি, লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তে মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৬৮টি স্বর্ণের বারের ওজনে পানিতে ডুবে মিরাজ মন্ডল (১৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। মিরাজ উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ভাটপাড়ার ইয়াসিন মন্ডলের ছেলে।

রবিবার (৮ অক্টোবর) নাস্তিপুর সীমান্তের ৮০ নম্বর পিলারের নিকট এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয়রা ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে মিরাজ মন্ডল তার শরীরে স্বর্ণ বেঁধে মাথাভাঙ্গা নদীতে কলা গাছের ভেলায় চড়ে ভারতে প্রবেশ করতে যায়। এ সময় নদীর মাঝখানে পৌঁছালে স্রোতে ভেলাটি সরে যায়। প্রায় ১০ কেজি স্বর্ণের ওজনে পানিতে নিখোঁজ হয় সে। এ ঘটনার ৪ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রবিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের একটি বড় চালান পাচার হবে। খবর পেয়ে নাস্তিপুর সীমান্তে গাংপাড়ায় বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নেয়। দুপুরে স্থানীয়রা খবর দেয় মিরাজ তার শরীরে স্বর্ণের বার নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়। বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিকালে মিরাজের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার শরীরে বাঁধা কাপড়ের চারটি পুঁটলিতে ছোট-বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ১০ কেজি দুইশ ৬৩ গ্রাম। আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি  দুই লাখ ৬৩ হাজার টাকা। স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজার অফিসে চালানপূর্বক দর্শনা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’