যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কমিটি স্থগিত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতিসহ দুই জন আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগে শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতিসহ দুই জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যায় যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল মামুন সিমন (২৮) ও ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল আলম (২৩)। ঘটনার পর আল মামুন সিমন প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ক্যাম্পাসে ‘উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ’ করে ছাত্রলীগের একাংশ। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নির্দেশে তার অনুসারীরা সমাবেশ আয়োজনকারীদের ওপর হামলা চালান। এতে আল মামুন সিমন ও আশরাফুল আলম গুরুতর আহত হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সেলিম হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর শুনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন, পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’

এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে সংগঠনের দফতর সেলে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হলো।