সাকিবের বাড়িতে ভিড় বাড়লেও অনুপস্থিত আ.লীগ নেতাকর্মীরা

লোক বাড়ছে সাকিব আল হাসানের মাগুরার বাড়িতে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর রবিবার থেকেই তার বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় বেড়েই চলেছে । কদিন আগেও যে বাড়ির দরজায় বড় তালা ঝুলতে দেখা যেত সেই বাড়ির উঠোন ভরে উঠেছে হাজারও মানুষের পদচারণায়। তবে জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে এখনও তার বাড়িতে দেখা যায়নি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের পরিবারের আওয়ামী পরিবার হিসেবে রয়েছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। শিখরের বাবা মরহুম আসাদুজ্জামান ছিলেন আওয়ামী লীগের চারবারের বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান।

সরেজমিন কয়েকবার ঘুরে দেখা গেছে, রবিবার বিকাল থেকে সাকিব আল হাসানের কেশব মোড়স্থ বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেলেও আওয়ামী লীগের পদস্থ কোনও নেতাকর্মীদেরকে দেখা যায়নি।

মাগুরা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা এখন জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছেন।

জেলা,আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিল বলেন, ‘মাগুরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসাদুজ্জামান নামটি চির স্মরণীয়। তারই সুযোগ্য পুত্র সাইফুজ্জামান শিখর দীর্ঘদিন ধরে মাগুরাবাসীর অভিভাবক হিসেবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে মাগুরার রাজনীতিতে সাকিব আল হাসানের আগমন সাধারণ নেতাকর্মীদেরকে অবাক করেছে। সাকিব বা তার পরিবারের কেউ কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। তবু নেত্রীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। আমরা সবসময় নৌকার পক্ষে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী করণীয় কি তা বৈঠক করে নির্ধারণ করা হবে।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফম আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, ‘সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরার আপামর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নেতা। কিন্তু দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার জন্যই কাজ করতে প্রস্তুত।’

সাইফুজ্জামান শিখরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘নৌকা যার আমরাও তার। সাকিব আল হাসানের বিজয়ের জন্য শুধু আমি নই, দল সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।’

সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা কুটিল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাকিবের ওপর আস্থা রেখেছেন, সেই আস্থার প্রতিদান মাগুরাবাসী দেবে। আমরা পারিবারিকভাবে খুবই আনন্দিত।’

জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করে ইতিবাচক মতামত পেয়েছি। আশা করি দলের সব স্তরের নেতাকর্মীর চেষ্টায় নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।’