দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে গুলি

১৬ দিন পর নিহত দুই যুবকের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি দুই যুবকের লাশ ১৬ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুই দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার আ. রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই গ্রামের খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন সংঘবদ্ধ গরু চোরাকারবারি গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বাড়াদি সীমান্তের ৮২ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। ওই দিন দিবাগত গভীর রাতে চোরাকারবারিরা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়।

এ সময় বিএসএফ দল চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন নামের দুই গরু চোরাকারবারি।

ঘটনার পরদিন রবিবার সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি বিএসএফকে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সাড়া না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।

এদিকে, গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানায় বিজিবি। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।

দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ৮২ নম্বর পিলারের কাছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বিপন সরকার লাশ হস্তান্তর করে। সন্ধ্যার পর লাশ নিহতদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।