নিখোঁজের তিন দিন পর ৫ কেজি সোনাসহ পাচারকারীর মরদেহ উদ্ধার

যশোরের শার্শা সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর পাঁচ কেজি ২৭০ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বারসহ মশিউর রহমান (৫০) নামে একজন পাচারকারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তের অগ্রভুলোট এলাকার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের সীমান্তঘেঁষা ইছামতি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় কিছু লোক মশিউরকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। রাত বাড়ার পর তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। পরে জানতে পারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বক্সের ছেলে হাবিব ও জেহের আলীর ছেলে জামাল হোসেন তাকে স্বর্ণের একটি চালান দিয়ে ভারতে পাঠিয়েছে। পথিমধ্যে ইছামতি নদী পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে যায় মশিউর। সে থেকেই নিখোঁজ ছিল মশিউর। তিন দিন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বুধবার সকালে ১৭/৭ এস আর ৬০ পিলারের ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মরদেহটি ভেসে ওঠে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় তার শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় ৫ কেজি ২৭০ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বার পাওয়া যায়।

খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার ৫ কেজি ২৭০ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বারসহ মশিউর রহমান নামে একজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত সোনা ও মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।