কুমিরের বিচরণ জানতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছাড়া হলো নদীতে

এশিয়ায় এই প্রথম কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করা হলো। শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. রু সোমাবিরা এবং অস্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. পল, বন বিভাগ ও আইইউসিএন’র সহযোগিতায় করমজলের কুমির জুলিয়েট ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করা হয়। এরপর সেই কুমিরকে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল এবং যেসব কুমির নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে তার সারভাইভাল রেট জানা যাবে।’

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর বলেন, ‘বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় সন্ধ্যায় একটি কুমির ও রাত ৯টায় আরও একটি কুমির অবমুক্ত করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএন’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর প্রমুখ।