কালীগঞ্জ পৌর মেয়র ও এমপির পিএসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে টিপু সুলতানকে মারধরের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে কালীগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে মামলাটি করেন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম।

তুচ্ছ ঘটনায় মারধরের শিকার ভুক্তভোগী টিপু সুলতানের ডান পা ভেঙে গেছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। আহত টিপু সুলতান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম টাইপিস্ট পদে কর্মরত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ, মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, মেয়রের ভাগ্নে সবুজ হোসেন, ইরফান রাজা রুকু, জাবেদ হোসেন জুয়েল, মুরাদ জোয়ারদার বাবলু, শিহাব হোসেন, সুমন হোসেন, সাগর হোসেন, কামরান হোসেন, জুয়েল হোসেন ও উজ্জল দাস। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০/১৫ জনকে।

মামলার এজাহারে বাদী রিজিয়া বেগম উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ ডিসেম্বর তার স্বামী মারা যান। চাকরির সুবাদে তারা মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের কলোনিতে থাকেন। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় তার বড় ছেলে টিপু মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষ করে কালীগঞ্জ শহরের চায়না বেডিং অ্যান্ড কটন শপে পাপস কিনতে যায়। সামনে জায়গা না থাকায় রাস্তার এক পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকানে ঢোকে।

এ সময় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে এই মোটরসাইকেল কার জানতে চান। তার বড় ছেলে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বলে আমার। এ সময় মেয়র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন তার ছেলে গালিগালাজের প্রতিবাদ করে। তখনই মেয়র আশরাফুল আলম ও তার সঙ্গে থাকা ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন মারধর শুরু করেন। পরে সেখানে মেয়রের ভাই-ভাগ্নেসহ উক্ত আসামিরা মারধর করেন। তিনি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের মোবাইল নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, এ ঘটনায় রিজিয়া বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- বাবু, শিহাব, কামরান। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।