পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে দুজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় বাউফল উপজেলায় সাফিয়া রহমান (৯০) নামের এক বৃদ্ধা গাছের নিচে চাপায় ও বজ্রপাতে রাতুল (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাউফল উপজেলার তাতেরকাঠি গ্রামে ওই শিশুর ও দাশপাড়া ইউনিয়নের চরালকী গ্রামে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এছাড়া অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্য অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গাছ উপরে পড়ে বাউফল উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।

এসময় বজ্রপাতে সদর উপজেলার আউলিয়াপুরে একটি এবং বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নে দুটি গরুরও মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পরে এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয় বিভিন্ন উপজেলার অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের চালা এসে পড়েছে সড়কে

শিশু রাতুলের মৃত্যুর ব্যাপারে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।

দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে । এছাড়া আমার ইউনিয়নের অনেক ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী জানান, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, ঠিক কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করতে ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।