খুলনায় চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবিকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷ শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদা ব্রিজের মাথায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাটিকে প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়েছে। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর পিঠে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। 

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনক হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রবিউলকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি, হাসপাতালে আনার অনেক আগেই মারা গেছেন। তার দেহে সাতটি গুলি লেগেছে।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। প্রথমে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে এলে নিশ্চিত হওয়া যায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। কারা গুলি করেছে, তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লেগেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় অংশ নেন চেয়ারম্যান রবিউল। সভা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ মোটরসাইকেলযোগে খুলনা মহানগরীর বাসায় ফিরছিলেন। গুটুদিয়া ওয়াপদা ব্রিজের মাথায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। 

পথচারীরা জানান, ঘটনার সময় একাধিক গুলির শব্দ হয়। এগিয়ে গিয়ে তারা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের ওপর পড়ে আছেন চেয়ারম্যান। তারা প্রথমে ভেবেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।