খুলনায় হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার

খুলনাখুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া দু’দিনের নবজাতককে ৩০ ঘণ্টা পর শুক্রবার দুপুরে একটি ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নাসিমা ওরফে শাবানা ও তাসলিমা নামে দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পরস্পর ভাবি ও ননদ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ে মেডিপ্যাথ ক্লিনিক থেকে নবজাতককে উদ্ধার ও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মহানগরীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মেডিপ্যাথ ক্লিনিক থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার ও দুই নারীকে গ্রেফতার করে।  গ্রেফতারকৃত নাসিমা ওরফে সাবানা প্রসূতি হিসেবে অভিনয় করে শিশুসহ এই ক্লিনিকে ভর্তি হন। সঙ্গে ছিলেন ভাবি তাসলিমা।
ওসি জানান, নাসিমা ওরফে শাবানার স্বামীর নাম মান্নান জমাদ্দার। তার বর্তমান ঠিকানা রূপসা থানার আইচগাতী শাহপাড়া ও স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে বরিশালের আমতলা পালগ্রামে। আর তাসলিমার স্বামীর নাম আব্দুল মান্নান। তার ঠিকানা রয়েছে দিঘলিয়া থানার দেয়াড়া গ্রাম।

মেডিপ্যাথ ক্লিনিকের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সুমন নামে একজন নাসিমাকে প্রসূতি হিসেবে শিশুসহ এখানে ভর্তি করান। এ সময় নাসিমার কোমরে একটি বেল্ট বাঁধা ছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে নাসিমাকে একটি প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়। প্রেসক্রিপশনের ওষুধ কিনে না আনায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে নাসিমার কোমরের বেল্টটি খুলে দেখতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে জোর করেই বেল্টটি খুলে ফেলা হয়। এরপরই প্রসূতির অভিনয় রহস্য উন্মোচিত হয়।

বিষয়টি ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মনোয়ার হোসেনকে জানানো হলে তিনি পুলিশে খবর দিতে বলেন। 

আটককৃত নাসিমা ওরফে শাবানা বলেন, সুমন নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার তার কাছে পাঁচ হাজার টাকায় এই নবজাতককে বিক্রি করেন। এরপর সুমনই বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুসহ তাকে মেডিপ্যাথ ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সুমনের পরামর্শেই সে কোমরে বেল্ট বেধে প্রসূতির অভিনয় করে।

উল্লেখ্য, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া প্রসূতি সানজিদা আক্তার মিনু সিজারের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে জমজ (একটি ছেলে ও একটি মেয়ে) সন্তান জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার সকালে সানজিদাসহ অন্য দু’জনকে কোমল পানীয় পানের মাধ্যমে অচেতন করে জমজ শিশুদের মধ্য থেকে ছেলে শিশুটিকে চুরি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মো. ইদ্রিস শেখ বাদী হয়ে মহানগরীর সদর থানায় বৃহস্পতিবারই একটি মামলা করেন।

 

/বিটি/টিএন/