খাদ্য বিভাগের ওএমএস কার্যক্রম বুধবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে মনিটরিং শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা। প্রথম দিনে ছয়টি এলাকার ছয়টি পয়েন্টে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মেলে।
ওএমএস খুলনা মহানগরীর শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আসাদুল্লাহিল গালিব ও আহসানুল হাসান তানীম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফারদিন হাসান ও ১৬নং ওয়ার্ড টিসিবির শিক্ষার্থী প্রতিনিধি শেখ সাহেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুর্নীতিগ্রস্ত, গরিবের সম্পদ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান কর্মসূচিটি ধারাবাহিকভাবে চলমান রয়েছে। বুধবার ওএমএস খুলনা মহানগর ছাত্র প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, খুলনার সমন্বয়ে নতুন বাজার, ডালমিল মোড়, মিয়াপাড়া, বি কে রোড, লবণচোরা এবং শেখপাড়াতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি কেন্দ্রে সাত বস্তা চাউল উদ্ধার, এক কেন্দ্রে তিন বস্তা আটা উদ্ধার, এক দোকানে সরকারি চাল বিক্রয়সহ কয়েক কেন্দ্রে দুর্নীতির প্রমাণ মেলে। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কাজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সুবিধার্থে অভিযুক্ত এবং কেন্দ্রের নামের তালিকা গোপন রাখা হয়েছে। সব কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন হলে নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ওএমএস, খুলনা মহানগরীর শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আহসানুল হাসান তানঈম এ প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক রাসেদুজ্জামান বলেন, কয়েকটি পয়েন্ট সম্পর্কে ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিযোগ পেয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
খুলনার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৈয়বুর রহমান বলেন, কোনও পয়েন্টে দুর্নীতি প্রমাণ হলে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।