নড়াইল সদর হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের কর্মী শারমিন বৃষ্টি গত ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন। নড়াইল থেকে নিখোঁজের চার দিন পর বাগেরহাটের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের একটি পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। বৃষ্টি নড়াইল শহরের আলাদাতপুর এলাকার মৃত আব্দুল করিম মোল্লার মেয়ে।
নিখোঁজের ঘটনায় তার মা সবেজান বেগম ২ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, যশোরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি গত কয়েক বছর ধরে নড়াইল সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি করছেন। তার স্বামী মাহফুজ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের পুলিশ জানিয়েছে, সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের পরিবারের লোকজন থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে যান। এ সময় তারা দুটি পা ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর বলেন, শরীরে ইট বাঁধা, গলায় কালো রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুকুরে লাশ পাওয়া গেছে। পাড় থেকে জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। পিবিআই ও সিআইডি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, দুই দিন আগে নারীকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেওয়া হতে পারে। কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে এটা হত্যা কি না।