সিলিংফ্যানের নিচে বিশ্রামে থাকে ‘ব্ল্যাক টাইগার’, প্রিয় খাবার আম

খুলনার আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী গ্রামে ‘ফাইজার ডেইরি ফার্মে’ রাজকীয় আদরে দিন কাটছে ‘ব্ল্যাক টাইগার’-এর। এটি পাকিস্তানি শাহীওয়াল জাতের একটি ষাঁড়, যার বয়স ৩৬ মাস, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ১২শ’ কেজি। শান্ত প্রকৃতির এ গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ লাখ টাকা।

গরুর মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘গরুটির শারীরিক গঠন অনেকটা বাঘের মতো বলেই এর নাম দিয়েছি ‘ব্ল্যাক টাইগার’। তিন বছর ধরে সন্তানের মতো যত্নে লালনপালন করছি। খুবই শান্ত স্বভাবের, তবে মাঝে মধ্যে সামান্য উত্তেজিত হয়।’

তেলিগাতী গ্রামের ফার্মটিতে গরুটিকে সিলিংফ্যানের নিচে বিশ্রামে দেখা যায়। মালিকের ডাকে ‘ব্ল্যাক টাইগার’ নাম শুনেই সাড়া দেয় সে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে ঘাস, গমের ভুসি, ভুট্টার আটা ও চিটাগুড় দিয়ে তৈরি সাইলেজ। পাশাপাশি মৌসুমি ফলের মধ্যে আম ‘টাইগার’-এর প্রিয়।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ডুমুরিয়ার শাহাপুর হাট থেকে মাত্র ৬ মাস বয়সে গরুটি কিনে এনেছিলাম ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকায়। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর ধরে পরম যত্নে বড় করেছি।’

ফাইজার ডেইরি ফার্মে শুধু ব্ল্যাক টাইগারই নয়, আছে আরও উন্নত জাতের কয়েকটি গরু। এর মধ্যে রয়েছে—কালো মানিক: শাহীওয়াল জাতের, ৩৬ মাস বয়স, ওজন ১ হাজার কেজি, দাম ৫ লাখ টাকা। ছোট বাবু: ২৬ মাস বয়সী সাদা শাহীওয়াল, ওজন ৯০০ কেজি। অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু: ৩২ মাস বয়সী, ৪ দাঁতওয়ালা, ওজন ৯০০ কেজি, দাম হাঁকা হচ্ছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্ল্যাক টাইগারের সঙ্গে কালো মানিককেও একই হাট থেকে কিনেছিলাম। তার দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।’

গত পাঁচ বছর ধরে মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাংক থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে প্রতিবছর কোরবানি উপলক্ষে ১৫০–২০০ দেশি ও বিদেশি জাতের গরু ফার্মে তুলতেন। তবে এ বছর ব্যাংক সুদের হার বেড়ে সাড়ে ১৪ শতাংশ হওয়ায় গরু তোলা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সুদ এত বেশি হওয়ায় এবার আর বড় পরিসরে গরু তোলা যায়নি। এতে আমাদের মতো খামারিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।’