যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত (কোভিড-১৯) শেখ আমির হোসেন পারুল (৬৮) মারা গেছেন। চলতি বছর যশোর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রথম মৃত্যুবরণ করলেন।
আইসিইউ ৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (১৮ জুন) ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত শেখ আমির হোসেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের শেখ মোকসেদ আলীর ছেলে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) বজলুর রশিদ টুলু তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ জুন বিকাল ৬টার দিকে হাসপাতালের মডেল ওয়ার্ড থেকে এই রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কিডনিজনিত সমস্যায় সার্জারি বিভাগের রোগী হিসেবে গত ৫ জুন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আইসিইউতে সন্দেহজনক আরও তিন জন রোগী রয়েছেন। তারা করোনায় আক্রান্ত কি না সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালে আরও একজন করোনা রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. হুসাইন শাফায়েত বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগী শেখ আমির হোসেন আজ ভোরে মারা গেছেন।’
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও যশোরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট হাসপাতালে নেই। যেসব রোগী আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বাইরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হন ডাক্তাররা। আক্রান্ত রোগীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা অন্য রোগীদের সঙ্গেই চিকিৎসাসেবা নিচ্ছিলেন। সে কারণে আরও অনেকেই এতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট কিট না থাকায় পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত কিট থাকলে আরও পরীক্ষা করা যেত। সে কারণে এখন হাসপাতালে স্বাস্থ্যঝুঁকির একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দফতরে কিটের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। কিট পেলে করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হবে। এ জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত।
দীর্ঘ চার বছর পর যশোরে আবার শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের (কোভিড- ১৯) সংক্রমণ।