সাতক্ষীরার দুই সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সাতক্ষীরার কুশখালী ও কৈখালী সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। শনিবার (২১ জুন) বিকালে ও সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ও কৈখালী সীমান্ত দিয়ে ৪ জনকে হস্তান্তর করা হয়। রাতে তাদের সাতক্ষীরা সদর থানা ও শ্যামনগর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

রবিবার (২২ জুন) দুপুরে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের প্রেস উইং কর্মকর্তা মিলন হোসেন জানান, বিএসএফের হস্তান্তর করা ১৮ জনের বাড়ি ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, গাজীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায়। তারা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাঁদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ‘শনিবার রাত ৯টার দিকে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এরা হলেন— ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানার মাদ্রাসা গলির বাবু মিয়ার মেয়ে মারিয়া আক্তার, সেলিম মিয়ার মেয়ে নুসরাত জাহান, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের বিমল কৃষ্ণ মণ্ডলের মেয়ে রাণী মণ্ডল, দেবাশীষ মণ্ডলের মেয়ে রিয়া মণ্ডলসহ ১৪ জন।

এদিকে, কৈখালী সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তরকৃতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সালাম সরদারের ছেলে মো. নুর আলম (৩৬), তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন (২৬) এবং তাদের দুই মেয়ে লাবিবা খাতুন (৬) ও লামিয়া খাতুন (১৬ মাস)।

নুর আলম জানান, আড়াই বছর আগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতের কেরালা শহরে যান তারা। চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় তিনি পরিবার নিয়ে  সেখানেই ছিলেন। এ সময় তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা সেখানে অবৈধ হয়ে অধিবাসী হয়ে যান। পরে তারা অবৈধপথে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় এসে অবস্থান নেন। এ সময় বিএসএফ তাদের আটক করে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি জানায়, এ ধরনের যৌথ পতাকা বৈঠক ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।